May 7, 2024, 1:10 am

ঝিনাইদহে স্ত্রী ও সন্তান হত্যায় দায়ে একজনকে মৃত্যুদন্ডের রায়

আতিকুর রহমান, ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহে স্ত্রী ও সন্তানকে হত্যার ঘটনায় সুজন (৩৫) নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছে আদালত। সোমবার দুপুরে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক আব্দুল মতিন এ রায় ঘোষনা করেন। দন্ডপ্রাপ্ত সুজন শৈলকুপা উপজেলার দোহা-নাগিরাট গ্রামের মো বিশারত হোসেনের ছেলে। রায় সুত্রে জানা যায়, শৈলকুপা উপজেলার নোন্দীরগাতী গ্রামের সালেহা বেগমের কন্যা ইয়াসমিনের বিয়ে হয় সুজনের সাথে। পরে তাদের ঘরে একটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। এরপর থেকেই সুজনের পরকীয়া নিয়ে স্ত্রীর সাথে ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকতো। এ ঘটনার জের ধরে সুজন তার স্ত্রী ও সন্তানকে শশুরবাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। কিছুদিন পরে সুজন অন্যদের সাথে নিয়ে স্ত্রী ও সন্তানের সাথে বিবাদে জড়াবেনা বলে নিজের বাড়িতে নিয়ে যায়। বাড়ি ফিরিয়ে আনার ১৫ দিন পর ২০১৬ সালের ১৮ ফেব্রæয়ারি তাদের কোন সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। সুজনের স্বজনদের কাছে ইয়াসমিনের পরিবার জানতে চাইলে তারা বলেন ওরা বেড়াতে গেছে। কিছুদিন পর সুজনের বাড়িতে গিয়ে কাউকেই পাওয়া যায়না। পরে ঝিনাইদহ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে ওই বছরেরই ২২ মার্চ তাদের পাওয়া যাচ্ছে না মর্মে অভিযোগ দায়ের করে ইয়াসমিন এর মা সালেহা বেগম। পরে আদালত সেটি এজাহার হিসাবে গণ্য করেন। আদালতের নির্দেশে শৈলকুপা থানা পুলিশ জানতে পারে সুজন শেখ ফরিদপুর জেলার সদরপুর থানার মৈজদ্দি-মাতব্বরকান্দি গ্রামে আতœগোপনে আছে। সেখানে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সুজন স্বীকার করে যে তার স্ত্রী ইয়াসমিনকে ফরিদপুর জেলার পদ্মানদীর তালুকের চরে শ্বাসরোধ করে এবং ছেলে ইয়াসিনকে গলা টিপে হত্যা করে বালিচাপা দিয়ে রেখেছে। পরবর্তিতে পুলিশ ২০১৭ সালের পহেলা জানুয়ারী আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে। সাক্ষ্য প্রমান শেষে বিজ্ঞ আদালত গতকাল সোমবার দুপুরে সুজন কে স্ত্রী ও সন্তান হত্যার দায়ে অভিযুক্ত করে মৃত্যুদন্ড প্রদান করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরও সংবাদ :